মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘সংঘাত ও শংকামুক্ত জীবন আমাদের সবার কাম্য’ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে ‘আন্তর্জাতিক হাঁটা দিবস’ পালিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১২ টায় দিবসটি পালনে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ‘লেটস ওয়াক’ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে একটি র্যালী বের করা হয়। পরে র্যালীটি সৈকতের সুগন্ধ পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়েছে।
র্যালীতে আয়োজনকারি সংগঠনটির সদস্যদের পাশাপাশি ঘুরতে আসা পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
র্যালী শেষে দিবসটি পালনের স্বপ্নদ্রষ্টা ও আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রমকারি এশিয়ান প্রথম নারী জান্নাতুল মাওয়া রুমা সাংবাদিকদের বলেন, হাঁটার ফলে মানুষের দৈহিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মনও প্রফুল্ল থাকে। মানুষ সুস্থ দেহমন নিয়ে দীর্ঘায়ু পাবে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যেস থাকলে ডায়াবেটিক, ক্যান্সার, লিভার ও কিডনীর মত জটিল রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি মাংসপেশী সক্রিয় থাকে। এতে একজন মানুষ রোগমুক্ত জীবনের হাতছানি পাবে।
মূলত যান্ত্রিক জীবনে মানুষের মাঝে হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলে সুস্থ দেহমন নিয়ে বাঁচার তাগিদেই দিবসটি পালনের মুখ্য উদ্দ্যেশ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, দিবসটি পালনে সরকার-বেসরকারি পৃষ্টপোষকতা যেমন প্রয়োজন; তেমনি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন সামাজিক অংশগ্রহণও।
দেশের গন্ডি পেরিয়ে দিবসটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্যও দাবি জানান জান্নাতুল মাওয়া রুমা।
কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পরিদর্শক তপন তালুকদার বলেন, হাঁটার মাধ্যমে মানুষের দৈহিক সক্ষমতা যেমন বাড়ে তেমনি মনও প্রফুল্ল থাকে। তাই প্রতিটি মানুষের হাঁটার অভ্যেস গড়ে তোলা উচিত। এবার দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিকতা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনুষ্টিত হওয়ায় হাঁটা সম্পর্কে মানুষের পাশাপাশি পর্যটকদের মাঝেও সচেতনতা সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, ‘হাঁটা দিবস’ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলেও বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দেশে পালিত হয়ে আসছে। বিশ্বে দিবসটির প্রস্তাবক ‘আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রমকারি প্রথম এশিয়ান নারী’ জান্নাতুল মাওয়া রুমা। বিগত ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনিই বাংলাদেশে প্রথম দিবসটি পালনের প্রচলন শুরু করেন। পরবর্তীতে গত ২০২০ সালে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ‘১৯ ফেব্রুয়ারিকে হাঁটা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই থেকে প্রতি বছর দিনটি দেশে ‘হাঁটা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply